সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেসার কমে গেলে কি খাওয়া উচিত করণীয় ও খাদ্যতালিকা হার্নিয়া থেকে মুক্তির উপায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিস্তারিত জানুন ফ্যাটি লিভার গ্রেড ১ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন একটি মৌলিক সংখ্যার কয়টি গুণনীয়ক থাকে জানুন সহজভাবে নভোএয়ার টিকেট প্রাইস 2025 বিস্তারিত জানুন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবার চালু হলো আরব আমিরাতের অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ সমূহ জানুন বিস্তারিত ব্যাখ্যা ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা সৌদি এয়ারলাইন্স ঢাকা টু দাম্মাম টিকেট প্রাইস ২০২৫ বিস্তারিত জানুন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এর বেতন কত টাকা ২০২৫ সালে
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেসার কমে গেলে কি খাওয়া উচিত করণীয় ও খাদ্যতালিকা হার্নিয়া থেকে মুক্তির উপায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিস্তারিত জানুন ফ্যাটি লিভার গ্রেড ১ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন একটি মৌলিক সংখ্যার কয়টি গুণনীয়ক থাকে জানুন সহজভাবে নভোএয়ার টিকেট প্রাইস 2025 বিস্তারিত জানুন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবার চালু হলো আরব আমিরাতের অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ সমূহ জানুন বিস্তারিত ব্যাখ্যা ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা সৌদি এয়ারলাইন্স ঢাকা টু দাম্মাম টিকেট প্রাইস ২০২৫ বিস্তারিত জানুন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এর বেতন কত টাকা ২০২৫ সালে

ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

Mohammad Abulllha Wahed
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও আশার আলো দেখা দিয়েছে। ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজ।

বৃত্তি পরীক্ষা কেন বন্ধ হয়েছিল?

গত কয়েক বছরে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে। সেই সময় স্থগিত করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। অনেক অভিভাবক ও শিক্ষক তখন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রেরণাও কমে গিয়েছিল চোখে পড়ার মতো।

এবার কাদের জন্য থাকছে বৃত্তির সুযোগ?

শিক্ষা উপদেষ্টার ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এবার শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতেও সমান সুযোগ থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, কুড়িগ্রামের একটি প্রত্যন্ত স্কুলের রাহেলা নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, বৃত্তি পরীক্ষা চালু হলে আমার পরিবারকে সহায়তা করতে পারব।

কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে বৃত্তি পরীক্ষা?

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী। পরীক্ষা হবে বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর। মোট নম্বর থাকবে ১০০ এবং সময়সীমা হবে ২ ঘণ্টা। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে। এছাড়া, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অনলাইনে বৃত্তি ফর্ম পূরণ করাও চালু করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত 

শিক্ষা উপদেষ্টার এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। এটা শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় প্রতিটি শিশু তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাক। এই বৃত্তির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

শিক্ষাব্যবস্থায় এই ঘোষণার প্রভাব কী হতে পারে?

এই ঘোষণার ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে।
সরকারি স্কুল বৃত্তি চালু হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে। বিশেষ করে যেসব পরিবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছে, তারা এই বৃত্তির মাধ্যমে সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারবে। এটি শিক্ষা খাতে সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কেমন?

বহু অভিভাবক এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
তারা বলছেন, বৃত্তি চালু হওয়ায় শিক্ষার প্রতি তাদের সন্তানের আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার মিরপুর এলাকার এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আগে নিয়মিত পড়ত না, এখন বৃত্তির কথা শুনে খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে।

শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যে কী বার্তা ছিল?

শিক্ষা উপদেষ্টার কথায় স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গঠনের প্রত্যয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন-এর জন্য এই ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে আরো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এই সংবাদে আনন্দিত পুরো দেশ। এটি শুধু একটি পরীক্ষা নয়, বরং হাজারো শিশুর ভবিষ্যতের আশা। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারি এই উদ্যোগ যেন বাস্তবে পরিণত হয় এবং দেশের প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটায় এই প্রত্যাশা সকলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও আশার আলো দেখা দিয়েছে। ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজ।

বৃত্তি পরীক্ষা কেন বন্ধ হয়েছিল?

গত কয়েক বছরে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে। সেই সময় স্থগিত করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। অনেক অভিভাবক ও শিক্ষক তখন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রেরণাও কমে গিয়েছিল চোখে পড়ার মতো।

এবার কাদের জন্য থাকছে বৃত্তির সুযোগ?

শিক্ষা উপদেষ্টার ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এবার শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতেও সমান সুযোগ থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, কুড়িগ্রামের একটি প্রত্যন্ত স্কুলের রাহেলা নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, বৃত্তি পরীক্ষা চালু হলে আমার পরিবারকে সহায়তা করতে পারব।

কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে বৃত্তি পরীক্ষা?

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী। পরীক্ষা হবে বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর। মোট নম্বর থাকবে ১০০ এবং সময়সীমা হবে ২ ঘণ্টা। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে। এছাড়া, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অনলাইনে বৃত্তি ফর্ম পূরণ করাও চালু করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত 

শিক্ষা উপদেষ্টার এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। এটা শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় প্রতিটি শিশু তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাক। এই বৃত্তির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

শিক্ষাব্যবস্থায় এই ঘোষণার প্রভাব কী হতে পারে?

এই ঘোষণার ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে।
সরকারি স্কুল বৃত্তি চালু হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে। বিশেষ করে যেসব পরিবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছে, তারা এই বৃত্তির মাধ্যমে সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারবে। এটি শিক্ষা খাতে সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কেমন?

বহু অভিভাবক এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
তারা বলছেন, বৃত্তি চালু হওয়ায় শিক্ষার প্রতি তাদের সন্তানের আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার মিরপুর এলাকার এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আগে নিয়মিত পড়ত না, এখন বৃত্তির কথা শুনে খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে।

শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যে কী বার্তা ছিল?

শিক্ষা উপদেষ্টার কথায় স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গঠনের প্রত্যয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন-এর জন্য এই ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে আরো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফিরে আসছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এই সংবাদে আনন্দিত পুরো দেশ। এটি শুধু একটি পরীক্ষা নয়, বরং হাজারো শিশুর ভবিষ্যতের আশা। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারি এই উদ্যোগ যেন বাস্তবে পরিণত হয় এবং দেশের প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটায় এই প্রত্যাশা সকলের।