অবশেষে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার 2025 প্রকাশ করা হল

Mohammad Abulllha Wahed
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৭৩ বার পড়া হয়েছে

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার 2025

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার 2025 প্রকাশিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৯টি পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে। এই পরীক্ষা একসঙ্গে পরিচালিত হয়, ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সহজ ও স্বচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। আজকের এই কন্টেন্টে আমরা ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার, আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ২০২৫ সালে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আসন সংখ্যা সমূহ

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ২০২৫ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯টি পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো।

১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU)। আসন সংখ্যা: ১১১৬।

২. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU)। আসন সংখ্যা: ৪৩৫‌‌ টি।

৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BSMRAU)।‌ আসন সংখ্যা: ৭০৫ টি।

৪. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (CVASU)। আসন সংখ্যা: ৪২৩ টি।

৫. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU)। আসন সংখ্যা: ২৭৫ টি।

৬. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (PSTU)। আসন সংখ্যা: ৫৮০ টি।

৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (KAU)।‌ আসন সংখ্যা: ১৫০ টি।

৮. হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (HAU)। আসন সংখ্যা: ৯৯ টি।

৯. কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (KuAU)। আসন সংখ্যা: ৮০ টি।

এই ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

২০২৫ সালের ভর্তি সংক্রান্ত সার্কুলারটি ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে এবং শেষ হবে ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১,২০০ টাকা। পরীক্ষাটি এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং পূর্ণমান থাকবে ১০০ নম্বর। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়, যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। প্রথমেই ভর্তিচ্ছুরা ACAS অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। এরপর নিজের ব্যক্তিগত ও একাডেমিক তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। তারপর অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি বিকাশ, রকেট বা নগদ এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। সব তথ্য ঠিকভাবে যাচাই করে সাবমিট করলে একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাওয়া যাবে, যা সংরক্ষণ করে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই সহজ অনলাইন প্রক্রিয়ায় যেকেউ ঘরে বসেই কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি যোগ্যতা ও শর্তাবলী

যে শিক্ষার্থীরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হবে।

• এসএসসি ও এইচএসসি: উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

• মোট জিপিএ: এসএসসি ও এইচএসসি মিলে নির্দিষ্ট জিপিএ সার্কুলারে উল্লেখিত থাকতে হবে।

• বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা: জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত

• কোটা সুবিধা: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩%, উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১%, প্রতিবন্ধী কোটায় ১% সংরক্ষিত রয়েছে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাঠামো ও সিলেবাস

পরীক্ষাটি মোট ১০০ নম্বরের হবে এবং এটি এমসিকিউ (MCQ) ফরম্যাটে নেওয়া হবে, যেখানে নেগেটিভ মার্কিং প্রযোজ্য নয়। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিত প্রত্যেকটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। শিক্ষার্থীদের উচিত এই বিষয়গুলোর মূল বই ভালোভাবে পড়ে প্রস্তুতি নেওয়া।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির সেরা টিপস

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা জরুরি। প্রথমেই বোর্ড বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো ভালোভাবে পড়ে বেসিক কনসেপ্ট পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে যেকোনো প্রশ্ন সহজেই বুঝতে পারবেন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে প্রশ্নের ধরণ ও প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে টাইম ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা বাড়ে এবং পরীক্ষার সময় কম দুশ্চিন্তা হয়।

প্রস্তুতির সময় সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করে রাখলে রিভিশনের সময় অনেক সুবিধা হয়। বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে যেসব অধ্যায় কঠিন মনে হয়, সেগুলোর ওপর বেশি জোর দিতে হবে এবং বারবার অনুশীলন করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় আপনি নিশ্চয়ই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।

ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ফলাফল

পরীক্ষার তারিখের এক সপ্তাহ আগে ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। পরীক্ষার দিনে প্রবেশপত্র ও আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত ১৫-২০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়। ফলাফল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (acas.edu.bd) পাওয়া যাবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরবর্তী ধাপ

ভর্তি পরীক্ষার পরে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ২০২৫ অনুযায়ী, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে। শিক্ষার্থীদের সময়মতো আবেদন করে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। আপনার ভর্তি প্রস্তুতির জন্য শুভকামনা রইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অবশেষে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার 2025 প্রকাশ করা হল

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার 2025 প্রকাশিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৯টি পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে। এই পরীক্ষা একসঙ্গে পরিচালিত হয়, ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সহজ ও স্বচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। আজকের এই কন্টেন্টে আমরা ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার, আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ২০২৫ সালে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আসন সংখ্যা সমূহ

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ২০২৫ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯টি পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো।

১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU)। আসন সংখ্যা: ১১১৬।

২. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU)। আসন সংখ্যা: ৪৩৫‌‌ টি।

৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BSMRAU)।‌ আসন সংখ্যা: ৭০৫ টি।

৪. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (CVASU)। আসন সংখ্যা: ৪২৩ টি।

৫. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU)। আসন সংখ্যা: ২৭৫ টি।

৬. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (PSTU)। আসন সংখ্যা: ৫৮০ টি।

৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (KAU)।‌ আসন সংখ্যা: ১৫০ টি।

৮. হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (HAU)। আসন সংখ্যা: ৯৯ টি।

৯. কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (KuAU)। আসন সংখ্যা: ৮০ টি।

এই ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

২০২৫ সালের ভর্তি সংক্রান্ত সার্কুলারটি ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে এবং শেষ হবে ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১,২০০ টাকা। পরীক্ষাটি এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং পূর্ণমান থাকবে ১০০ নম্বর। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়, যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। প্রথমেই ভর্তিচ্ছুরা ACAS অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। এরপর নিজের ব্যক্তিগত ও একাডেমিক তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। তারপর অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি বিকাশ, রকেট বা নগদ এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। সব তথ্য ঠিকভাবে যাচাই করে সাবমিট করলে একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাওয়া যাবে, যা সংরক্ষণ করে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই সহজ অনলাইন প্রক্রিয়ায় যেকেউ ঘরে বসেই কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি যোগ্যতা ও শর্তাবলী

যে শিক্ষার্থীরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হবে।

• এসএসসি ও এইচএসসি: উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

• মোট জিপিএ: এসএসসি ও এইচএসসি মিলে নির্দিষ্ট জিপিএ সার্কুলারে উল্লেখিত থাকতে হবে।

• বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা: জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত

• কোটা সুবিধা: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩%, উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১%, প্রতিবন্ধী কোটায় ১% সংরক্ষিত রয়েছে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাঠামো ও সিলেবাস

পরীক্ষাটি মোট ১০০ নম্বরের হবে এবং এটি এমসিকিউ (MCQ) ফরম্যাটে নেওয়া হবে, যেখানে নেগেটিভ মার্কিং প্রযোজ্য নয়। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিত প্রত্যেকটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। শিক্ষার্থীদের উচিত এই বিষয়গুলোর মূল বই ভালোভাবে পড়ে প্রস্তুতি নেওয়া।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির সেরা টিপস

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা জরুরি। প্রথমেই বোর্ড বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো ভালোভাবে পড়ে বেসিক কনসেপ্ট পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে যেকোনো প্রশ্ন সহজেই বুঝতে পারবেন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে প্রশ্নের ধরণ ও প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে টাইম ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা বাড়ে এবং পরীক্ষার সময় কম দুশ্চিন্তা হয়।

প্রস্তুতির সময় সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করে রাখলে রিভিশনের সময় অনেক সুবিধা হয়। বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে যেসব অধ্যায় কঠিন মনে হয়, সেগুলোর ওপর বেশি জোর দিতে হবে এবং বারবার অনুশীলন করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় আপনি নিশ্চয়ই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।

ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ফলাফল

পরীক্ষার তারিখের এক সপ্তাহ আগে ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। পরীক্ষার দিনে প্রবেশপত্র ও আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত ১৫-২০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়। ফলাফল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (acas.edu.bd) পাওয়া যাবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরবর্তী ধাপ

ভর্তি পরীক্ষার পরে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ২০২৫ অনুযায়ী, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে। শিক্ষার্থীদের সময়মতো আবেদন করে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। আপনার ভর্তি প্রস্তুতির জন্য শুভকামনা রইল।