বন্ধুরা, বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং যাতায়াত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, বা শিক্ষা সংক্রান্ত কারণে আফগানিস্তানে যেতে চান, আবার অনেক আফগান নাগরিক বাংলাদেশেও আসতে চান। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের ভিসা আফগানিস্তানের  জন্য এবং আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়? এ বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কন্টেন্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো কীভাবে আফগান নাগরিকরা বাংলাদেশে ভিসা পেতে পারেন এবং বাংলাদেশিরা কীভাবে আফগানিস্তানের ভিসা আবেদন করতে পারেন।

বাংলাদেশের ভিসা আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য

বাংলাদেশে আসতে চাইলে আফগানিস্তানের নাগরিকদের অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে, যেমন:

• পর্যটক ভিসা: বাংলাদেশে ঘুরতে আসার জন্য
• ব্যবসায়িক ভিসা: ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
• শিক্ষার্থী ভিসা: বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে
• কর্মসংস্থান ভিসা: কাজের জন্য

বাংলাদেশের ভিসার জন্য কী কী দরকার?

বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমেই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন, যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতে হবে। এরপর ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে, যা অনলাইনে অথবা দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করা যায়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক তোলা নির্ধারিত ফরম্যাটের পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। অর্থনৈতিক সামর্থ্য প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি ফ্লাইট ও হোটেল বুকিংয়ের কপি জমা দিয়ে দেখাতে হবে আপনি কোথায় থাকবেন।

বাংলাদেশের দূতাবাস আফগানিস্তানে কোথায়?

আফগান নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ কাবুলে একটি কনস্যুলেট পরিচালনা করে। আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেস সম্পন্ন হয়।

আফগানিস্তানের ভিসা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য

বাংলাদেশের নাগরিকদের আফগানিস্তানে যেতে হলে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। আফগানিস্তান বর্তমানে ভিসা ছাড়া কোনো বিদেশিকে প্রবেশ করতে দেয় না।

আফগানিস্তানের ভিসার ধরন

আফগানিস্তানের ভিসা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়। ট্যুরিস্ট ভিসা ঘুরতে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত। ব্যবসায়িক কাজে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে বিজনেস ভিসা। আফগানিস্তানে চাকরি করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হয়। আর পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন হয় স্টুডেন্ট ভিসা।

আফগানিস্তানের ভিসার জন্য দরকারি কাগজপত্র

আফগানিস্তানের ভিসার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকা একটি বৈধ পাসপোর্ট, সম্পূর্ণভাবে পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম এবং ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। কর্মসংস্থান ভিসার জন্য নিয়োগপত্র, শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি চিঠি এবং ব্যবসায়িক ভিসার জন্য অবশ্যই ব্যবসায়িক আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হয়।

আফগানিস্তানের দূতাবাস বাংলাদেশে কোথায়?

ঢাকার গুলশানে আফগানিস্তানের দূতাবাস রয়েছে, যেখানে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

২০২৫ সালে ভিসা প্রক্রিয়ার আপডেট

২০২৫ সালে কিছু নতুন পরিবর্তন এসেছে।

১. অনলাইন ভিসা আবেদন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
২. ই-ভিসা সুবিধা কিছু ক্যাটাগরিতে চালু হয়েছে।
৩. নতুন নিরাপত্তা নীতি যুক্ত হয়েছে।

শেষ কথা 

২০২৫ সালে বাংলাদেশের ভিসা আফগানিস্তানের জন্য এবং আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সবশেষ নীতিমালা জানা জরুরি। সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করলে সহজেই ভিসা পেতে পাবেন। আরো তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ওয়েবসাইট চেক করুন। নিরাপদে ভ্রমণ করুন!

ভিসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 

কীভাবে দ্রুত বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়া যায়?

দ্রুত ভিসা পেতে সকল ডকুমেন্ট সঠিকভাবে জমা দিতে হবে এবং দূতাবাসের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন বাতিল হলে কী করবেন?

আবেদন পুনরায় জমা দেওয়ার আগে বাতিল হওয়ার কারণ খুঁজে বের করুন এবং সংশোধন করুন।

বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান যাওয়ার জন্য কী বিশেষ অনুমতি লাগে?

নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকলেও সঠিক ভিসা থাকলে অনুমতির প্রয়োজন নেই।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া। বিস্তারিত জানতে এখানে যান।